,

মধুপুর পৌরসভা আলোকিত পৌরসভা হিসেবে রূপান্তরিত

  • শুভ চৌহান মধুপুর উপজেলা প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভা আজ নগর পিতা সিদ্দিক হোসেন খান এর বিভিন্ন  উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ডের জন্য একটি  আলোকিত মডেল পৌর সভা হিসেবে পরিনত হয়েছে।
দীর্ঘদিন অন্ধকারে থাকা মধুপুর পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকার সড়ক আজ লেম্পপোষ্টোর আলোয় আলোকিত। মধুপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকার রাতের দৃশ্য আজ দিনের মতো আলো ঝলমল ছাড়াও শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাবলিক টয়লেট স্থাপন, বিভিন্ন পৌর এলাকায় পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি, বিভিন্ন রাস্তাঘাট পাকাকরণ, বাসস্ট্যান্ড প্রশস্তকরণ, শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ কাজ এবং  বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বিশুদ্ধ ওয়াটার সাপ্লাই প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে। এই বিশুদ্ধ পানি পৌর শহরের বিভিন্ন বাসাবাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দ্রুত কাজ এগিয়ে চলছে।বয়স্ক ভাতা, বিধোবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা,সহ পৌর শহরকে  মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মামলাবাজি মুক্ত রেখে শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি জিরো টলারেন্স হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রথম মেয়াদে শুরু করা অসম্পন্ন উন্নয়নমূলক কাজগুলো সমাপ্ত করে খুব শীঘ্রই  ঐতিহ্যের মধুপুরকে আধুনিক ও উন্নত শহর হিসেবে সারা দেশে পরিচিতি ঘটাবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন তিনি।
পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট দীর্ঘ স্থায়ীত্বের জন্য ডালাইয়ের মাধ্যমে শেষ করেছেন।
ইতিমধ্যে নগর এলাকা পরিস্কার  পরিছন্ন রাখতে বাসাবাড়ি, জনবহুল এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রায় সাড়ে চার হাজার ডাস্টবিন স্থাপনের কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই তিনি পৌরবাসীর জন্য একটি পার্ক উপহার দিবেন। যেখানে সব বয়সের মানুষ বিনোদনের জন্য সময় কাটাতে পারবে।
্তিনি প্রতিদিনের রুটিন মাফিক ফজরের নামাজ আদায় করে পায়ে হেটে বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে দেখা করেন। তাদের কোনো সমস্যা বা অভিযোগ পেলে সেখানেই তা সমাধান করার চেষ্টা করেন। এ সকল কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পৌরবাসী আজ তাকে নগর পিতা নামে আখ্যায়িত করেন।
মধুপুরের বিভিন্ন সংগঠনের দায়িত্বে থেকে মানবসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন এই সাদা মনের মিষ্টহাসির  মানুষটি।
তার কর্মদক্ষতা ও নিষ্ঠার কারণে এবার টাঙ্গাইল জেলার চালকল মালিক সমিতির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। নগর পিতার এ বিজয় মধুপুরবাসীর অন্তরে একটি মাইলফলক হিসেবে গচ্ছিত থাকবে এমনটাই প্রত্যাশা নগরবাসীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category