কামাল উদ্দিন জয় উখিয়া
সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এবং সাবরাংয়ের পূর্বে নাফ নদের ওপারে মংডু শহরের অবস্থান। মংডু শহরের নাফ নদ দিয়ে প্রবেশপথ খায়েনখালী খালের মোহনায় অনেক রোহিঙ্গা জড়ো হয়েছে। টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়ার নবী হোসেন বলেন, শুনেছি, বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। মঙ্গলবার রাতভর ওপারে গোলাগুলি হয়েছে। বুধবার সকাল থেকেও থেমে থেমে গোলাগুলি হচ্ছে। ফলে বিজিবি বাংলাদেশ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটিঘাটে সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ রেখেছে। রাখাইনে বিকট বিস্ফোরণের ফলে টেকনাফ সীমান্তের মানুষ ভয়ে আছে বলে জানিয়েছেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান।
টেকনাফ ক্যাম্পের কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, দু’পক্ষের গোলাগুলিতে অনেক রোহিঙ্গা মারা যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ ছাড়া তাদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ সীমান্তে আসছে। এপারে আসার জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আমরা তাদের নিরুৎসাহিত করছি।
আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের নিশ্চিহ্ন করতে জান্তা ও বিদ্রোহীরা যুদ্ধের নামে নাটক করছে। আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান রাখছি, মিয়ানমারে সেফজোন গড়ে তুলে রোহিঙ্গাদের সেখানে বসবাসের সুযোগ দেওয়া হোক।
বিজিবি টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ জানান, সীমান্ত অনুপ্রবেশ ঠেকানোর পাশাপাশি যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত রয়েছেন।
Leave a Reply