,

ঈদগাঁও মাইজ পাড়া- খোনকার পাড়া পানিবন্দি

ঈদগাঁও, কক্সবাজার।

কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে সামান্য বৃষ্টিতে তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ইউনিয়নের উত্তর মাইজ পাড়া- খোনকার পাড়া অংশ এখন পানিতে সয়লাব। মধ্যম মাইজ পাড়া ও দক্ষিণ মাইজ পাড়ার বিভিন্ন পয়েন্টে পানি নিষ্কাশনের পথ রুদ্ধ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। এলাকার এ কাহিল দুর্ভোগের বিষয়টি স্থানীয় মেম্বারদেরকে জানানো হয়েছে।
সরেজমিন পরিদর্শন ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ঈদগাঁওর ঐতিহ্যবাহী ভরাট খালটিতে এখন দখল ও দূষণের রাম রাজত্ব চলছে। ভরাট খালের বিভিন্ন পয়েন্টে নির্মিত হয়েছে পাকা বসতবাড়ি, দোকানপাট ও অন্যান্য স্থাপনা।
জাগির পাড়া, উত্তর, মধ্যম ও দক্ষিণ মাইজ পাড়া ব্যাপি অবস্থান ভরাট খালটির।
১৮/২০ বছর আগেও এ খালে কোন স্থাপনা ছিল না। ঈদগাঁও খাল ও বাজার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানি এ ভরাট খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চৌফলদন্ডী খালের চ্যানেলে গিয়ে পড়তো। কিন্তু কালের বিবর্তনে ভরাট খালটি এখন অস্তিত্বহীন হয়ে উঠেছে। কিছু দূর পর পর গড়ে উঠেছে বিভিন্ন স্থাপনা। কোথাও মাটি ফেলে ঘর নির্মাণের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। আবার কোথাও বাঁধ তৈরি করে মৎস্য প্রজেক্ট তৈরি করা হয়েছে। সরকারিভাবে উক্ত ভরাট খালে ড্রেন তৈরি করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তার আকার অতি সরু। আবার বিভিন্ন স্থানে এ সরু ড্রেনেও ময়লা- আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। ভরাট খালে কানেক্টিং সড়কগুলোতে যে ব্রীজ রয়েছে সেগুলোও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই ছোট। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই উত্তর মাইজ পাড়া ও খোনকার পাড়া অংশ পানিতে সয়লাব হয়ে ওঠে। এতে উক্ত এলাকা সমূহের জনগণকে দারুণ দুর্ভোগে পড়তে হয়। গত কয়েকদিন পূর্বে যে বৃষ্টি হয়েছে, তাতে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি এখনো পানিবন্দি রয়েছে। অনেকের বসতবাড়ির চলাচলের পথও পানিতে ডুবে আছে। এলাকাবাসীরা জানালেন, ভরাট খাল সংলগ্ন ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা না হলে ও স্থানীয় লোকজন সচেতন না হলে এই অবস্থা জিইয়ে থাকবে। আর তাতে বিপাকে পড়তে হবে এলাকার মানুষজনকে। পানি থমকে দাঁড়ানোর কারণে অনেকের ক্ষেত পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছে। এতে তাদের শাকসবজি খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। গৃহপালিত পশু পাখির বিচরণ ও বন্ধ রয়েছে। এদিকে এলাকাবাসীর অবর্ণনীয় এ দুর্ভোগের বিষয়টি ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার জয়নাল আবেদীন এবং দুই নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার বজলুর রহমানকে অবহিত করা হয়েছে।
ইউপি সদস্য বজল জলাবদ্ধতার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মধ্যম মাইজ পাড়ায় ভরাট খালের কয়েকটি পয়েন্টে পাকা স্থাপনা তৈরি ও ড্রেনেজ সিস্টেমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় পানি কোথাও যেতে পারছে না। আমরা দুই ইউপি সদস্য মিলে বিষয়টি চেয়ারম্যানকে অবহিত করে একটা বিহিত ব্যবস্থার দিকে যাব ।
উত্তর মাইজ পাড়ার রমজান উল্লাহ, মধ্যম মাইজ পাড়ার সাইফুল ইসলাম সহ অনেকে এ দুর্ভোগের জন্য ড্রেনেজ সিষ্টেমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভরাট খাল দখল ও দূষণ, এলাকার ব্রিজ সমূহ সরু করে তৈরি করা, ভরাট খালে ময়লা, আবর্জনা, নাড়িভূড়ি, গরুর পায়খানা- প্রস্রাব নিক্ষেপকে দায়ী করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category