সাভারে`তৈরী পোশাক শ্রমিকদের জন্য ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তর’ শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিপরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তৈরী পোশাক শিল্পে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের কাছে একটি সবুজ জ্বালানি রূপান্তরের বাঁধাসমূহ ও সুযোগগুলি নিয়ে প্রয়োজনীয় সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সভাটি আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার অক্সফামের সহযোগিতায় সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি (এসআরএস) কর্তৃক বাস্তবায়িত ফ্যাশন ফরওয়ার্ড প্রকল্পের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় তৈরী পোশাক শ্রমিক প্রতিনিধি, ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক এবং মধ্যম স্তরের ব্যবস্থাপনা প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সংলাপের জন্য সুপারিশ প্রদান করেন। যা বাংলাদেশের জ্বালানি রূপান্তরের ভবিষ্যৎ এবং সেই পরিবর্তনে শ্রমিকদের ভূমিকা রাখতে সহায়ক হবে।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে এর তৈরী পোশাক শিল্পের সবুজায়নের দিকে। বৈশ্বিক তৈরী পোশাক শিল্প “ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি চার্টার ফর ক্লাইমেট অ্যাকশনের” আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রীনহাউস গ্যাস নিঃসরণ ৩০% কমানোর লক্ষ্য নিয়েছে। যার প্রভাব বাংলাদেশের পোশাক খাতে পড়তে যাচ্ছে। তবে এই লক্ষ্যগুলি অর্জন করতে একটি সুনির্দিষ্ট, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ন্যায়সঙ্গত জ্বালানি রূপান্তর প্রয়োজন, যাতে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষিত থাকে এবং সবুজ প্রযুক্তি ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়।
ফ্যাশন ফরওয়ার্ড প্রকল্পের প্রকল্প ম্যানেজার মাহমুদুল হাসান জ্বালানি রাজনীতি, জ্বালানি অর্থনীতি, বাংলাদেশের জ্বালানির ব্যবহার, ন্যায্য জ্বালানি রূপান্তর, এবং তৈরি পোশাক শিল্পে এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যাত্রা এবং তৈরি পোশাক শিল্পে এর প্রয়োগ হতে হবে ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সমতা ভিত্তিক। সেফটি অ্যান্ড রাইটস সোসাইটি (এসআরএস) বাংলাদেশে শ্রমিকদের অধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে কাজ করছে। এসআরএস টেকসই উন্নয়ন এবং কর্মীদের জন্য একটি ন্যায্য ও সুবিচারের পরিবেশ তৈরি করতে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply