এম এ সাত্তার উপকূলীয় প্রতিনিধি
সৌদি আরব পালাতে গিয়ে র্যাবের হাতে সিলেট বিমানবন্দরে গ্রেফতার হন ইয়াবা মাফিয়া খ্যাত আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির ক্যাশিয়ার সালাউদ্দিন।
সালাউদ্দিন গ্রেফতার হলেও এখনো ধরা ছোঁয়ার
বাইরে তার সহযোগীরা। উখিয়ার ইয়াবা ডন সালাউদ্দিনের বিশ্বস্ত দেহরক্ষী হিসেবে দেখা যেতো রাজাপালংয়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী এনামুল কবির টিপুকে।
কোমরে অবৈধ অস্ত্র রেখে সালাউদ্দিনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছিলো টিপুর কাজ, এছাড়াও শেখপাড়ায় কথিত অফিস ছিলো তার টর্চারসেল।
স্থানীয় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সালাউদ্দিনের নির্দেশে জোরপূর্বক নিরহ মানুষকে ধরে এনে টিপু চালাতো পাশবিক নির্যাতন।
ইয়াবা ব্যবসার পাশাপাশি ক্ষমতার দাপটে জমিদখল সহ নিজের গডফাদারের সব অপরাধে টিপুর ভূমিকা ছিলো, তার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার দায়ে আদালতে আছে মামলা।
মামলার বাদী স্থানীয় বাসিন্দা ছৈয়দ আলম (৫০) বলেন, ” সালাউদ্দিনের ছত্রছায়ায় টিপু বেপরোয়া ছিলো, আমার জমি কেড়ে নিতে সে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিলো। আল্লাহ তার বিচার করবে।”
আলোচিত এই টিপু অপহরণ, ইয়াবা পাচার, হত্যাচেষ্টাসহ আরো বেশ কয়েকটি মামলার অন্যতম আসামী।
সালাউদ্দিনের দখল করা জমির মালিক নুরুল আলম সওদাগরের ভাই শাহ আলম ও তার পরিবার কে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার ঘটনায় নেতৃত্ব দেয় টিপু।
এ ঘটনায় উখিয়া থানায় দায়ের করা মামলার বাদী শাহ আলম বলেন, ” আল্লাহর রহমত ছিলো বলে প্রাণে বেঁচে আছি। সালাউদ্দিন সহ টিপু ও তার সহযোগীরা সেদিন আমাকে ও আমার পরিবারকে শেষ করে দিতো আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে।”
দুর্ধর্ষ এই সন্ত্রাসীর মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যায়নি উত্তর, এলাকাবাসীরা বলছেন অনত্র পালিয়ে আছে টিপু।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র বলছে, সালাউদ্দিনের শত অপকর্মের স্বাক্ষী টিপুকে খোঁজা হচ্ছে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম হোসাইন জানিয়েছেন, ” টিপু তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, তাকে আইনের আওতায় আনতে তৎপরতা অব্যাহত আছে।”
Leave a Reply