,

দেশে যখনই কোন বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে তখনই আন্দোলন হয়েছে- প্রধান অতিথি মাওঃ ফয়েজি

নিজেস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ শিশু শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থার পক্ষ থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের উদ্দেশ্যে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার ২৩ আগষ্ট বাদ মাগরিব মাদ্রাসাতুল ফুরকান আল ইসলামিয়া হল রুমে এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন হযরত মাওলানা ফজলুল্লাহ ফয়েজি। প্রধান অতিথির বক্তব্য হযরত মাওলানা ফজলুল্লাহ ফয়েজি বলেন, ১৯৪৭,১৯৫২,১৯৬৯ সালে বিভিন্ন বৈষম্যতার স্বীকারের কারনে আন্দোলন হয় ও পরবর্তী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসেও পশ্চিম পাকিস্হানের সহিত বৈষম্যতার কারনে বাঙ্গালী জাতিকে দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করতে হয়েছিল। ২০২৪ সালে আরো একবার বৈষম্যতা থেকে মুক্তি পেতে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আন্দোলনের সহিত সকল শ্রেনীপেশার মানুষের সম্মিলিত আন্দোলনে বৈষম্যতা থেকে মুক্ত করে গত ৫ আগষ্ট দেশ স্বাধীন হল। অনুষ্ঠানে

সভাপতিত্ব করনে মুফতি শেখ মনিরুজ্জামান মাহমুদী চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থা। সভাপতির বক্তব্যে তার অভিমত ব্যক্ত করে বলেন দীর্ঘ ১৬ বছর একটি সৈরাচার সরকারের অধীনে মুক্ত মনে মুখ খুলতে পারে নাই, আজকে বই সময় বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ই আগস্ট এ নতুন ভাবে দেশ স্বাধীন হয়ে উন্মুক্তভাবে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি তার জন্য ছাত্র আন্দোলনের সহিত যারা দেশকে স্বাধীনের অবদান রেখেছে দলমত নির্বিশেষে ফলের প্রতি ধন্যবাদ জানান। বক্তব্যে তিনি বর্তমানে বৈষম্যতা থেকে মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা এখনএ মুক্ত হয়নি বলেও মন্তব্য করেন। দেশে সর্বমোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫ হাজার ৫৬৫ টি অথচ
সরকারি ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সংখ্যা: ০০টি।
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা:৬২৮ টি অথচ
সরকারি দাখিল মাদ্রাসার সংখ্যা: ০০টি,আবার
সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের সংখ্যা: ৬৩ টি অন্যদিকে
সরকারি দাখিল অ্যান্ড আলিম মাদ্রাসা: ০০টি।
তথ্যমতে৷ সরকারি কলেজের সংখ্যা: ৫৪ টি কিন্ত
সরকারি আলিম মাদ্রাসার সংখ্যা: ০০টি। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্র সরকারি ডিগ্রি (পাস)+ অনার্স কলেজের সংখ্যা ৪৪৬ টি হলেও সরকারি ফাজিল মাদ্রাসার সংখ্যা: ০০টি আবার সর্বোচ্চ বিদ্যাপঠের দিকে তাকালে দেৎা যায় সরকারি স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) কলেজের সংখ্যা: ১৯৮ টি অপরদিকে সরকারি স্নাতকোত্তর (কামিল) মাদ্রাসার সংখ্যা : ০৩ টি।একমাত্র সরকারি আলিয়া তিনটি হলো যথাক্রমে-১. সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, ঢাকা;২. সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া, সিলেট;
৩. সরকারি মুস্তাফাবিয়া আলিয়া মাদ্রাসা, বগুড়া।

তার অভিমতে বলেন যে,জেনারেল শিক্ষার প্রতি আমার সর্বোচ্চ সন্মান আছে কিন্ত কিছুটা সামঞ্জস্যপূর্ণ হলে মাদ্রাসা শিক্ষার প্রতি আরো ভালো ছেলে মেয়েরা আকৃষ্ট হতে পারতো। এখন দাবী বর্তমান সরকারের প্রতি যে উপরে এতো এতো সংখ্যাতে ডাবল জিরো দেখেও কী একটু ভাবনা আসবেনা? একটুও চিন্তাপোলব্ধি হবে না। স্বৈরাচার সরকার কীসের ভিত্তিতে তেল মর্দন করতেন প্রতিবেশী দেশকে, কিসের ভিত্তিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান রাষ্ট্র বলে বড়াই করতেন! সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান অথচ একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও সরকারি করতে পারলেন না!

স্বাধীন সার্বভৌম এই দেশে আশা করি মুসলমানের পক্ষে এসব নিয়ে কাজ করা হবে, এসব তাদের দৃষ্টিগোচর করা হবে।আমরা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জা লাগে।
এছাড়া অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য প্রদান করেন মাওলানা খাইরুল ইসলাম ফরাজী,
আলোচক হিসাবে আরো কথা বলেন ডাক্তার মাওলানা মোসাদ্দেক আল মাদানী,হযরত মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান সাহেব। শিক্ষা সচিব বাংলাদেশ শিশু শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থা।হযরত মাওলানা ইমরান ইউসুফী, হযরত মাওলানা আবু সাঈদ। অর্থ সম্পাদক বাংলাদেশ শিশু শিক্ষা উন্নয়ন সংস্থা, এনামুল হক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী।
উক্ত অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও ছাত্ররা উপস্হিত ছিল। আলোচনা সমাপ্তির পর বৈষম্যবিরুধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও আন্দোলনে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category