কাইরুল ইসলাম মামুন আলমডাঙ্গা
আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টুর ৭০ তম জন্মবার্ষিকি পালিত হয়েছে।
গতকাল সকাল ১০ টার দিকে আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের অফিস কক্ষে কেক কেটে জন্মদিন পালিত হয়। আলমডাঙ্গা গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সাধারন সম্পাদক কবি হাবিবুর রহমান মজুমদারের সভাপতিত্ব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি কথা সাহিত্যিক ওমর আলী মাষ্টার।প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পি সহকারি অধ্যাপক আসিফ জাহান ।তিনি বলেন খন্দকার শাহ আলম মন্টু একজন বহুমুখি প্রতিভার নাম,সে একাধারে,সাংবাদিক,
শিক্ষক,জনপ্রতিনিধি, সংগঠক,রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব সহ বহুমুখি প্রতিভার অধিকারি।আমি দীর্ঘদিন থেকে তাকে দেখছি,সাংবাদিক হিসেবে।প্রধান অতিথি বলেন শাহ আলম মন্টুকে ১৯৮২ সালে আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাব গঠন করার বেশ কিছুদিন পর ১৯৮৫/৮৬ সালের দিকে প্রেসক্লাবের সাথে যোগ দেয়,আজ বলতে দ্বিধা নেই খন্দকার শাহ আলম মন্টু সাংবাদিক কে সদস্য পদ দিয়ে সেদিন প্রেসক্লাবের কর্মকর্তারা ভুল করেন নি।সেই মন্টু প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন,পরবর্তিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।বর্তমানে সে অসুস্থ তাই আগের মত সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালন করতে সমস্যা হয়।তবে নিয়মিত সংবাদ পরিবেশন করতে ভুল হয় না। সে বর্তমানে আলমডাঙ্গা দুর্নিতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।আমি তার সার্বিক মঙ্গল কামনা করছি।সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও ,সাহিত্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম।আলাউদ্দিন আহমেদ পাঠাগারের পরিচালক কবি গোলাম রহমান চৌধুরির উপস্থাপনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি জামসিদুল হক মুনি, রুনু খন্দকার,শেখ শফিউজ্জামান,মৌলভি আবুল কাশেম, সাংগাঠনিক সম্পাদক কাইরুল মামুন,সহ সাংগাঠনিক সম্পাদক বসিরুল আলম,
গাঙচিল সাহিত্য সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি জামিরুল ইসলাম ,
প্রচার সম্পাদক জাফর জুয়েল,আইসিটি সম্পাদক মীর ফাহিম ফয়সাল,৭২ দশকের সেরা গোলকিপার খন্দকার আমিরুল ইসলাম বাবুল,
,কবি সিদ্দিকুর রহমান,কবি আব্দুল খালেক,বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পি জীবন ফকির,কবি ও প্রকাশসক কিশোর কারুনিক,কবি ডাঃ মহসিনুজ্জামান,কবি অহর আলী প্রমুখ। সাংবাদিক শাহ আলম মন্টু তার জন্মদিনে অনুভুতি ব্যাক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন আমি ছোট বয়স থেকে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ি।বিশেষ করে কলেজ জীবন থেকে লেখালেখি, খেলাধুলা করা এবং সামাজিক কাজের প্রতি ঝোক ছিল,সবই একে একে করেছি,কিন্ত বয়সটা ততোদিনে অনেকদুর গড়িয়ে গেছে,মাত্র ১৪/১৫বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে ভারতে যাবার জন্য মনস্তির করেও যাওয়া হয়নি,পরে কুমারি গ্রামের ট্রেনিং প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যুদ্ধ করতে চলে যাই।স্থানীয় ভাবে ট্রেনিং নিয়েছি আব্দুল হান্নান ভাইয়ের কাছে ।আজ বয়স বেড়েছে,কিন্ত মনের জোরে এখনও সব কাজ করে বেড়াচ্ছি।
Leave a Reply