শাকুর মাহমুদ চৌধুরী কক্সবাজার
কবিতা হলো মানুষের অন্তরের গভীরতম অনুভূতির প্রকাশ। এটি কখনো দৃষ্টির সীমানা পেরিয়ে কল্পনার জগতে ভ্রমণ করে, কখনোবা বাস্তবতার কঠিন মাটিতে দাঁড়িয়ে। কবিতার একটি বিশেষ দিক হলো “অলিখিত পঙতি”। এই অলিখিত পঙতি মানে সেই শব্দমালা যা আমাদের চোখে পড়ে না, কিন্তু অনুভব করা যায়। দৃষ্টির সীমানা পেরিয়ে কল্পনার গভীরে কবিতা কিভাবে ভূমিষ্ঠ হয়, তা নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা।
#অলিখিত পঙতির ধারণা:
অলিখিত পঙতি বলতে বোঝায় সেই ভাবনাগুলি যা সরাসরি লেখায় প্রকাশ পায় না, কিন্তু পাঠকের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। এটি কবির অন্তরের গোপন কথা, যা শুধুমাত্র কল্পনায় ধরা দেয়। এই অলিখিত পঙতি আমাদের কল্পনার জগতে একটি নির্দিষ্ট দৃশ্যপট তৈরি করে, যা লেখার মধ্যে প্রকাশিত হয় না কিন্তু অনুভব করা যায়।
#দৃষ্টির সীমানা পেরিয়ে:
মানুষের দৃষ্টির সীমানা সীমিত, কিন্তু কল্পনার কোনো সীমানা নেই। যখন আমরা কোনো কবিতা পড়ি, তখন আমাদের মন সেই শব্দের সীমা পেরিয়ে কল্পনার জগতে প্রবেশ করে। কবিতার অলিখিত পঙতি আমাদের সেই জগতে নিয়ে যায়, যেখানে শব্দের সীমাবদ্ধতা নেই। দৃষ্টির সীমানা পেরিয়ে এই পঙতিগুলি আমাদের অনুভূতিতে ছাপ ফেলে, যা এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা দেয়।
#কল্পনার গভীরে:
কল্পনার গভীরে কবিতা একটি স্বতন্ত্র রূপ ধারণ করে। এটি কেবলমাত্র লেখকের কল্পনার ফল নয়, পাঠকের কল্পনার সাথে মিশে যায়। যখন কোনো পাঠক কবিতার অলিখিত পঙতি উপলব্ধি করতে পারেন, তখন সেই কবিতা তার কাছে জীবন্ত হয়ে ওঠে। কল্পনার গভীরে কবিতার অলিখিত পঙতি আমাদের একটি অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি দেয়, যা বাস্তবতার সীমাবদ্ধতা ছাড়িয়ে যায়।
# উপসংহার:
অলিখিত পঙতি দৃষ্টির সীমানা পেরিয়ে কল্পনার গভীরে যে কবিতা ভূমিষ্ঠ হয়, তা আমাদের মননশীলতার একটি অনন্য উদাহরণ। এই পঙতিগুলি আমাদের কল্পনার শক্তিকে উদ্দীপ্ত করে, যা আমাদের জীবনকে আরও সমৃদ্ধ করে। কবিতার এই গভীরতা এবং কল্পনার এই শক্তি আমাদের সৃষ্টিশীলতাকে নতুন দিগন্তে পৌঁছে দেয়। অতএব, কবিতার অলিখিত পঙতি আমাদের অনুভূতির গভীরে একটি অদৃশ্য কিন্তু শক্তিশালী প্রভাব ফেলে।
কলমে
শাকুর মাহমুদ চৌধুরী
সাধারণ সম্পাদক
উপজেলা প্রেসক্লাব উখিয়া।
কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
দৈনিক সময় বায়ান্ন পত্রিকা।
Leave a Reply